টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কখনোই জয় পায়নি বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার (১০ জুন) বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই খরা কাটানোর সুযোগ এসেছিল টাইগারদের সামনে। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবে বাংলাদেশ দলের। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে। ম্যাচটিতে ছিল শেষদিকে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের ছাপ।
এদিন বাংলাদেশ ইনিংসের ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওটনিয়েল বার্টমানের বল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লেগে বাউন্ডারি পার হয়ে যায়। এর আগেই সেই বলে এলবিডব্লিউর আবেদন হলে আম্পায়ার স্যাম নগাজস্কি তাতে সাড়া দেয়। তবে রিভিউ নিলে দেখা যায় বল বেরিয়ে যাচ্ছে লেগ স্ট্যাম্পেরও বাইরে দিয়ে। এতে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ।
কিন্তু আম্পায়ারের সেই ভুল সিদ্ধান্তে বড় একটি ক্ষতি হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের। বল মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। লেগ বাই হিসেবে চার রান যোগ হওয়ার কথা বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। কিন্তু আম্পায়ার প্রথমে আউট দেয়াতে নিয়মনুযায়ী সেই রান বাতিল হয়ে যায়। আর বলটি ডট বল হিসেবে গণ্য হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই চার রানেই হারে বাংলাদেশ।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তাওহীদ হৃদয়ের জুটি এগোচ্ছিল দারুণভাবে। ম্যাচের নাটাই ছিল বাংলাদেশের হাতেই। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ২৩ বলে রান। পরের ওভারের প্রথম বলে তাওহীদ হৃদয় এলবিডব্লিউর শিকার হন। আম্পায়ার্স কলে সেটি বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়।
সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা তাওহীদের আউটে যেন ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে নিতে পেরেছে ১৫ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হারে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এখন এই ৪ রানের আক্ষেপেই পুড়ছে গোটা বাংলাদেশ।
এদিকে নিউ ইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। তাড়া করতে নেমে ব্যাটাদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১০৯ রান করে।